বিশেষ প্রতিনিধি: ২০১৩ইং সালে সাতক্ষীরায় জোড়া পুলিশ হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী সুপ্রিম কোর্টে খালাস পেলেও আদেশ আসার আগেই দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে চিরতরে এই পৃথিবী হতে বিদায় নিলো সাতক্ষীরা শহরের কুকরালি এলাকার মৃত রজব আলী শেখের চেলে অবেদ আলী।
খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালের কয়েদি সেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার তিনি মারা গেছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টায় নিজ বাড়ি কুকরালিতে জানাজা নামাজ শেষে দাফন করা হয়েছে।
মৃত অবেদ আলীর ছেলে শেখ আশিকুর রহমান শাওন বলেন, ‘২০০৩ইং সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শহরের ইটাগাছা পুলিশ ফাড়ির সিপাহী মোতালেব ও ফজলুল হককে ইটাগাছা এলাকার ফটিক বাবুর বাড়ির সামনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে পরদিন সাতক্ষীরা থানায় একটি হত্যা মামলার দায়ের করেন। পরবর্তীতে পুলিশ আমার বাবাসহ ১০ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০০৬ইং সালে আমার বাবা, রায়হানুল ইসলাম ও জাকির হোসেনকে মৃত্যুদন্ড এবং আব্দুস সোবহান, আব্দুস সালেক, মোঃ শাহীন ও মোঃ মিলনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে ২০০৩ইং সালে হাইকোর্টে আপিল করলে ২০১১ইং সালে শুনানি শেষে আমার বাবাকে খালাস দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষ ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে চলতি বছরের ১১ এপ্রিল হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। ২০১৫ইং সালে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে থাকাকালীন লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন আমার বাবা অবেদ আলী। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও আইনজীবীদের দৌড়ঝাঁপের পর সুপ্রিম কোর্টের খালাস আদেশটি দীর্ঘ ছয় মাস পর রবিবার বিকেলে সাতক্ষীরা জজ কোর্টে এসে পৌছায়।
ইতিমধ্যে রবিবার সকাল ১০টায় খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আমার বাবা। সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে রবিবার রাত ৯টার দিকে বাবার লাশ সাতক্ষীরার বাড়িতে আনা হয়।’
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি ওসমান গনি জানান, ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত অবেদ আলী (রবিবার খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে মারা যায়)। সে ব্যতীত মামলার সাতজন আসামী সোমবার যে কোন সময় জেলখানা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন।