Spread the love
বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সরকারি নীতি মালা না মেনে এম,বি,বি,এস ডাক্তার, ডিপ্লোমা নার্স ও লাইসেন্স বিহীনভাবে চলছে বেসরকারি ক্লিনিকগুলো। ফলে চরম ভোগান্তীর শিকার হচ্ছে ওই সকল ক্লিনিকে ভর্তি হওয়া রোগীরা। তবে এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের। 
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী একটি ক্লিনিকে একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও একজন ডিপ্লোমাধারী নার্স থাকবে সার্বক্ষণিক। তাছাড়া ক্লিনিকের নবায়ন লাইসেন্স,পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, নারকুটি লাইসেন্স, ইনকামটেক্স ও ফায়ারসার্ভিস লাইসেন্স থাকবে বাধ্যতামূলক। 
এছাড়া ওটিতে এসি, হাউড্রোলিক টেবিলসহ সকল সার্জিকাল যন্ত্রপাতি থাকার নিয়ম থাকলেও অধিকাংশ ক্লিনিকগুলো এ নিয়ম মানছেনা। 
সরেজমিনে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত আরজি ক্লিনিক  ও নার্সিং হোম, নওয়াবেঁকিতে শামিমা ও ডাক্তার ফার্নান্দো নববে মাদার এন্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল,বংশীপুরে শ্যামনগর ন্যাশনাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বংশীপুর নার্সিং হোম ও জননী নার্সিং হোম, শ্যামনগর সদরে সুন্দরবন নার্সিং হোম, নগর হাসপাতাল ও সেবা ক্লিনিসে যেয়ে দেখা যায়, সরকারি কোন নীতিমালা না মেনেই নির্বিঘ্নে চালানো হচ্ছে এসব ক্লিনিক। নেই তেমন কোন বৈধ কাগজপত্র। ক্লিনিকে ভর্তি রোগীরা অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে ছটফট করছেন।  এসকল ক্লিনিকের মধ্যে দুই একটি ক্লিনিক বাদে অধিকাংশ ক্লিনিক চলছে সরকারি কর্মকর্তা ও কিছু স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে।
শ্যামনগর সদরের নগর হাসপাতালে ভর্তি সিজারিয়ান রোগী রোকসানা পারভীনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ডাক্তার অপারেশন করে রেখে চলে গেছেন। এরপর নাসর্রা আমাদের দেখভাল করছেন। ডাক্তার কখন আসেন এমন 
প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  ৩-৪ দিন পরপর ডাক্তার নতুন রোগীদের অপারেশন করতে আসলে আমাদেরকে এক নজর দেখে যান। মনে হচ্ছে এটি হাসপাতাল নয়, হাজতখানা!
 
তবে নিজেদের দূর্বলতা স্বীকার করে শ্যামনগর সদরের নগর হাসপাতালে মালিক আকবর হোসেনের কাছে এসব বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে  তিনি বলেন, সার্বক্ষণিক একজন এম.বি.বি.এস ডাক্তার ও ডিপ্লোমা নার্স রেখে রোগীদের চিকিৎস্যা দেওয়া সম্ভব হয়না। তবে ডাক্তার প্রতিদিন ক্লিনিকে এসে রোগীদের দেখে যান। এছাড়া সকল প্রকার লাইসেন্স সরকারি ভাবে বন্ধ আছে বলে জানান তিনি।
ডাক্তার, নার্স ও লাইসেন্স বিহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাক্তার তৌহিদুর রহমান বলেন, যে সময় ক্লিনিক পরিদর্শন করতে যাওয়া হয় তখন ক্লিনিকে ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত থাকেন। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়না। তবে যদি কোন ক্লিনিকের মালিক সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে কার্যক্রম চালিয়ে যান তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।