Spread the love

এসভি ডেস্ক: স্বর্ণ আত্মসাতের এক মামলায় রামপুরা থানার সাবেক এসআই-সহ তিন পুলিশ সদস্যকে ৫ বছর ও এক সোর্সকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলার পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মিজানুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। 

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রামপুরা থানার সাবেক এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. আকাশ চৌধুরী ও কনস্টেবল ওয়াহিদুল ইসলাম। তাদেরকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মাহফুজ আলম রনি নামে এক সোর্সকে ৩ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

২০১৪ সালের ১৩ মার্চ রামপুরা থানা পুলিশ রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় একটি মাইক্রোবাস থেকে ২৩৫টি স্বর্ণের বারসহ গাড়ি আটক করে। সেসময় মাইক্রোবাস রেখে পালানোর সময় সমীর ও মুহিন নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর ৭০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার দেখিয়ে সমীর ও মুহিনের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় একটি চোরাচালান মামলা দায়ের করা হয়। থানা হেফাজতে নেওয়ার পর ওই দুই আসামি গাড়িতে ২৩৫টি স্বর্ণের বার ছিল বলে জানায়।

পরে ডিএমপির কমিশনার বেনজীর আহমদের নির্দেশে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে ডিবি। ডিবির পৃথক তিনটি দল নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও বগুড়ায় অভিযান চালিয়ে পুলিশের তিন সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে বাকি ১৪৯টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। পরে ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালাকে ক্লোজড করা হয়।

মামলায় ২০১৫ সালের ১৪ মে মাসে আদালতে দুদকের উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ জনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছরের ১৫ অক্টোবর মামলায় আদালত অপর আসামি মাইক্রোবাস চালক সজিব শিকদারকে অব্যাহতি দিয়ে দণ্ডিতদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন। বিচারকালে আদালত ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দুদকের পক্ষে আদালতে প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খান মামলা পরিচালনা করেন।