Spread the love
নিজস্ব প্রতিনিধি: দখলকৃত বসতবাড়ী, একাধিক মিথ্যা মামলা, বেপরোয়া জখম, লুটপাট ও জোর পূর্বক ব্যাংক চেক সহ এবং সব কিছু ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য জেলার উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন বাদী শম্পা পাল।
সাতক্ষীরা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,  আমার স্বামী দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সাতক্ষীরার স্বনামধন্য স্বর্ণ শিল্প ও একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক হিসাবে পরিচিত।
আমি শম্পা পাল।
আমার নামীয় ১৭ কাঠা জমিতে ৪ তলা বিশিষ্ঠ ভবন রয়েছে। ঐ জমি বাড়ী হস্তান্তর, বিক্রয়ের জন্য কারোর সাথে কোন প্রকার চুক্তিপত্র হইনাই। অপর দিকে শফিউল্লাহ মনি (৩৮), পিতা- মৃত: মোশারফ হোসেন, গ্রাম- দক্ষিণ কাটিয়া (লস্করপাড়া), উপজেলা ও জেলা- সাতক্ষীরা।
এই শফিউল্লাহ মনি একজন আন্তর্জাতিক স্বর্ণ, মাদক, ভারতীয় কাপড়, থ্রী পিস, ডায়মন্ড সহ চোরাকারবারী ও মাফিয়া ডন হিসাবে পরিচিত। সবাই তাহাকে বেলাকার মনি হিসাবে চেনে।
বেনাপোল থেকে সুন্দরবন সীমান্ত দিয়ে বেলাকার মনি চোরাচালান রুট হিসাবে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করে আসছে। তার ভাই মাসুম বিল্লাহ শাহিন, পৌর যুব দলের সাধারণ সম্পাদক ও একাধিক নাশকতা, সরকারী গাড়ী ভাংচুর, গাছ কাটা, হত্যা মামলার আসামী।  সরকার বিরোধী আন্দোলনে কয়েকবার জেল হাজত খেটেছে। বিগত ০২ বছর আগে ব্যবসার ফাঁদে ফেলে, সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে শহরের স্বনামধন্য দে ব্রাদার্স জুয়েলার্সের মালিক আশূতোষ বাবুর ঘর, ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান, জলের দামে বিক্রয় করে রাতারাতি ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে এই মনি।
মনি তার অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে আমার স্বামীকে জড়াতে চাইলে সে রাজি না হওয়ায় আমার স্বামীর বিরুদ্ধে সর্বদিক দিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। বাদীর ভাষ্য, আমাদের নিজ ক্রয়কৃত মাগুরা দাসপাড়া বাড়ীর উপর তার নজর পড়ে। এই বাড়ীসহ জমি তার নিকট বিক্রয় করতে বলে। বিক্রয় করতে রাজী না হওয়ায় মনি উদোর পিন্ডি বুদুর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করে। প্রায় গত দেড় বছর আগে তলুইগাছা সীমান্তে মনির প্রায় ১৬ কেজি স্বর্ণ আটক হয়।
এই ঘটনায় বি.জি.পি ৪ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা করে। মনি তার নিজ নামের মামলা হতে বাঁচার জন্য অর্থের প্রভাব ঘটিয়ে সন্দেহজনক আসামী করে আমার স্বামীর নাম এই সোনা পাচারকারী মামলায় বসিয়ে দেয়। গ্রেফতার করে জেল খাটায়। জেলে থাকা অবস্থায় বেনাপোল পোর্ট থানা সীমান্তে বি.জি.পি স্বর্ণ মামলায় আমার স্বামী মিলনকে সন্দেহজনক ভাবে আসামী বানিয়ে যশোর কারাগারে পাঠায়।
যশোর কারাগার হতে মুক্তি পাওয়ার পর মনি ও তার ভাই মাসুম বিল্লাহ শাহিন তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার স্বামী মিলন পালকে অপহরন করে। ১০দিন তাকে আটকে রাখে। তারপর আমার স্বামীর একটি দুগ্ধ খামারের ৪১ টি গরু বিক্রয় করে ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদা মনিকে দিতে বাধ্য হয়। আর বলে, মুখ খুললে তোর পরিবারের কাউকে বাঁচতে দিবোনা।
২০১৭ সালে ৩০ শে নভেম্বর মনিরের শালা উজ্জ্বল ৩৩ পিস স্বর্ণ বার সহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকায় আটক হয়। ঐ মামলায় আমার স্বামীকে ফাঁসানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে মনি। এখন মনি এবং নিলা মমতা সিলভার হাউজের মালিক আকাশ দাস। নিমতলী সুখের ঠিকানা গোলাপী রংয়ের ৪ তলা বিশিষ্ঠ বাড়ীটির ১ম তলা এবং ২য় তলা ভাড়া নিয়ে তাহার স্বর্ণ, ডায়মন্ড, মাদক, বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। 
এখন সংবাদ সম্মেলন শম্পা পাল বসত বাড়ী ফিরে পাওয়া ও জীবনের নিরপত্তা চেয়ে দাড়ে দাড়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।