বিশেষ প্রতিনিধি: আইলা, সিডরের মত প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগরের উপকূলীয় অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। অনেকের বসতভিটা থাকলেও ঘর নির্মাণ করার সক্ষমতা নেই। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে সরকার সারা দেশে দৃশ্যমান উন্নয়নের অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলার সুন্দরবন ঘেষা শ্যামনগর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন যথাক্রমে ভূরুলিয়া, কাশিমাড়ী, শ্যামনগর সদর, নূরনগর, কৈখালী, রমজাননগর, ঈশ্বরীপুর, মুন্সিগঞ্জ, বুড়িগোয়ালীনি, আটুলিয়া, পদ্মপুকুর ও গাবুরায় সরকারি ঘর পাচ্ছেন ৪০০ ছিন্নমুল পরিবার। ঘর পেলে গৃহহীন পরিবারগুলো অনেক উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজজামান বলেন, ২০১৮/১৯ অর্থ বছরে শ্যামনগর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হতে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দে দ্বিতীয় ‘আশ্রয়ন প্রকল্প’ এর অধিনে ৪০০ দরিদ্র পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি ঘরের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে ৪০০ ঘরের ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এসকল ঘর নির্মাণে আরসিসি খুটি তৈরিসহ ইসপাতের কাঠামো তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
কি ধরনের ঘর হবে এবং এর উপকার ভোগীর ধরণ জানতে চাইলে কামরুজজামান বলেন, যাদের বসত ভিটা আছে কিন্তু ঘর নাই, সরকারি নির্দেশনা আছে তাদের এই ঘর দিতে হবে। সে অনুযায়ী মাঠ পর্যায় থেকে উপকার ভোগীর তালিকা তৈরি করে কয়েক দফা যাচায় করে তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। প্রত্যেক ঘরে টিনের ছাউনি, আরসিসি খুটি, টিনের বেড়া ও লোহার ইশপাতের কাঠামো সাথে টয়লেট যুক্ত থাকবে।
তিনি বলেন, জন সংখ্যার আনুপাতিক হার হিসেবে প্রতিটি ইউনিয়নের এই ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ঘর নির্মানের জন্য সরকারি নীতিমালায় কোন ঠিকাদার নিয়োগের বিধান না থাকায় উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে নির্মাণ করা হবে দৃশ্যমান এই ৪০০টি ঘর।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্য এস.এম জগলুল হায়দার বলেন, বর্তমান সরকার দরিদ্র বান্ধব। সরকার মৌলিক অধিকারের চাহিদা অনুযায়ী হতদরিদ্রদের মাঝে ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে।