এসভি ডেস্ক: অধ্যাপক ডাঃ আ. ফ. ম রুহুল হক সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় ১৯৪৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম নজির আহমদ ও মাতার নাম মরহুমা আছিয়া খাতুন। তাঁর শৈশব কেটেছে অবিভক্ত বাংলার শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক হযরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (রঃ) এঁর পুন্যভূমি নলতাতে।
তিনি নলতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৯ সালে এসএসসি পরিক্ষায় কৃতিত্বের সাথে অর্জন করেন। ১৯৬১ সালে ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। তিনি ১৯৬৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। পরবর্তীতে লন্ডন, আমেরিকা ও বাংলাদেশ থেকে এফআরসিএস, এফআইসিএস এবং এফসিপিএস ডিগ্রী সফলতার সাথে অর্জন করে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। এবং ডাক্তার হিসেবে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশসহ দেশের বাইরে।
কর্মজীবনে তিনি সর্বপ্রথম ১৯৭০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ঢাকা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে আবাসিক সার্জন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত লন্ডনের “এসএইও এন্ড রেজিস্ট্রার ইন অর্থোপেডিক্স অক্সফোর্ড” হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকার পঙ্গু ও পুনর্বাসন হাসপাতাল এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে অর্থোপেডিক্সের বিভাগীয় প্রধান এবং সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত পঙ্গু ও পুনর্বাসন হাসপাতালের পরিচালক ও অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক্স বিভাগের চেয়ারম্যান ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবং পরবর্তীতে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে কনস্যালট্যান্ট (অর্থোপেডিক্স) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক রাজনৈতিক জীবনে সর্বপ্রথম ১৯৬৭ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভিপি নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহন করেন এবং এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। এবং ২০০৩ থেকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে অদ্যবদি দায়িত্ব পালন ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাতক্ষীরা জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
মুজিব আদর্শকে বুকে ধারণ করে তিনি স্বাস্থ্যখাতে অভাবনীয় উন্নয়নে অবদান রাখায় দেশ ও দেশের বাইরে থেকে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি স্বর্ণ পদক, জাতিসংঘ মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল অ্যাওয়ার্ড, শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য গ্যাভি বোর্ডর পুরষ্কারসহ অসংখ্য পদক ও পুরষ্কার পেয়েছেন।
তাঁর শক্তহাতে নৌকার হাল ধরে এগিয়ে নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগকে। স্বপ্নের মেডিকেল কলেজ গড়ে তুলে আধুনিক রুপে রুপ দিয়েছেন সাতক্ষীরাকে। জেলার স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, এতিমখানা, পাঠাগারসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও সংস্কার করে সাতক্ষীরাকে করেছেন আলোকিত। আর শিক্ষা, সাংস্কৃতি ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারে তিনি হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করেছেন। অবহেলিত সাতক্ষীরার প্রত্যেকটি জনপদ গড়ে তোলেন উন্নয়নের মডেল হিসেবে। আলোকিত সাতক্ষীরা বিনির্মাণে তার অবদান অপরিসীম।