Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল ও ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মোজাফফর বিশ্বাস মঙ্গলবার সাতক্ষীরার আমলী আদালত-১ এর বিচারক হারুন অর রশিদের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গ্রেফতারকৃতের নাম খোকন ঢালী (৪০)। সে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের এরফান ঢালীর ছেলে। এ নিয়ে এ পর্যন্ত পুলিশ তিনজনকে এ মামলায় গ্রেফতার করেছে।

কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান হাফিজুর রহমান জানান, ইউপি চেয়ারম্যান কেএম মোশাররফ হোসেন হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত মন্টু ঘোষ ও মোজাজফফর বিশ্বাসকে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শ্যামনগর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে খোকন ঢালী নামের এক সন্দিগ্ধ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে হত্যাকান্ডের ব্যবহৃত ১নং আসামী ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল গাইনের মালিকানাধীন লাল রঙ এর পালচার মটরসাইকেল ও একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত খোকন ঢালীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত মোজাফফর বিশ্বাস নিজেকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরার আমলী আদালত-১ এর বিচারক হারুন অর রশিদের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে সে চেয়ারম্যানকে কয়েকদিন ধরে অনুসরণ করে সকল তথ্যাদি ১নং আসামীকে জানানের কথা উল্লেখ করেছে। এ ছাড়া ঘটনার আগে থেকে সে ঘটনাস্থলের পাশে একটি জায়গার পাহারার দায়িত্বে থেকে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানকে হত্যা করে চলে যায়। তবে মোজাফফর বিশ্বাস ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তাদের নাম বললেও তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা যাবে না বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত,শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন যুবলীগ অফিসে বসে থাকাকালিন দুর্বৃত্তরা তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে সাফিয়া পারভিন বাদি হয়ে রোববার রাতে ১৯জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০ জনের নামে মামলা করে। রোববার রাতে পুলিশ এজাহারভুক্ত মন্টু ঘোষ ও মোজাফফর বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে।