Spread the love

এসভি ডেস্ক: ভোট চুরি এবং মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে সরকার ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী (বি. চৌধুরী)।

শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার: প্রেক্ষিত ও করণীয়’ শীর্ষক আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিকল্প ধারার প্রতিষ্ঠাতা বি. চৌধুরী বলেন, ‘শেষপর্যায়ে এসে কত লাখ বা কোটি ভুয়া ভোটার তারা তৈরি করেছে তা আমরা জানি না। আমরা ওইদিকে যায়নি। আমরা তো ইভিএম নিয়ে মেতে আছি।’

‘ইভিএমে দুই ধরনের ষড়যন্ত্র আছে। একটি হলো- ভোট চুরির ষড়যন্ত্র। অপরটি হলো- মানুষের দৃষ্টি কেড়ে নিয়ে রাত-দিন খালি ইভিএম নিয়ে পড়ে থাকা, আর ভুলে যাও ছেলে-মেয়ে ও বাচ্চাদের ওপর যেসব জুলুম হয়েছে।’

‘তরুণ ভোটাররা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে’- এমন ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে জনসংখ্যা রয়েছে পাঁচ কোটি ১৬ লাখ। ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে যে জনসংখ্যা তারা ভোটবঞ্চিত ছিল। এবার তারা প্রথম ভোট দেবে।’

‘কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, যারা আন্দোলন করল, তাদের রামদা, হাতুড়ি, লাঠি দিয়ে পেটানো হল। তাদেরই গ্রেফতার করা হল। যারা পিটিয়েছে তাদের তো গ্রেফতার করা হয়নি। এসব ছাত্রের মা-বাবা আছে, এরা ভোটার। তারা কি এ স্বৈরাচার সরকারকে ভোট দেবে?’

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান ছিল বড় স্বৈরাচার। ১০ বছরের বেশি টেকেনি। দ্বিতীয় স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কত বছর টিকেছে? আশ্চর্যজনক, ১০ বছর টিকেছে। এখন যে স্বেচ্ছাচারী সরকার আছে তাদের মেয়াদও ১০ বছর। অনেক সহ্য করেছি, ১০ বছর হয়ে গেছে, এবার চলে যাও। আমার মনে হয়, এটাই আওয়ামী লীগের শেষ বছর।’

‘আমরা একটা কথা প্রায়ই শুনি, বাংলাদেশে নাকি ষড়যন্ত্রের রাজনীতি হচ্ছে। বিদেশিদের সঙ্গে নাকি ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে অন্যরকমের সরকার, সংবিধানের বাইরের সরকারের জন্য। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, আমরা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশীদার নই। অসাংবিধানিক কোনো সরকারকে আমরা স্বীকৃতি দেব না। অগণতান্ত্রিক সরকারকে আমরা মেনে নেব না।’

তিনি বলেন, ‘এক স্বেচ্ছাচারীর পরিবর্তে অন্য স্বেচ্ছাচারীকে আমরা ক্ষমতায় আসতে দেব না। যারাই গণতন্ত্রের পক্ষে, আমরা তাদের সঙ্গে থাকব। শুধু মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা ছিল আমরা তাদের সঙ্গে যাব না, এটা পরিষ্কার। আমরা চাই এ সরকার নির্বাচনকালীনের জন্য একটি নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করবে। আমরা নির্বাচন বর্জনের কথা বলি না, সরকারকে বাধ্য করব নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করতে।’