এসভি ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেওয়া জবানবন্দি বই আকারে প্রকাশ করছিল একটি মহল। ‘রাজবন্দির জবানবন্দি’ নামে ওই বইয়ে আদালত বা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে খালেদার জবানবন্দি, মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্রসহ বিভিন্ন অসত্য তথ্য সংযোজন করা হয়।
অপরাধে ৪৮৫টি বইসহ আব্দুর রহমান নূর রাজন (৩২) ও মেহেদী আরজান ইভান (৩৭) নামে দু’জনকে আটক করে র্যাব-১০।
বুধবার (৮ আগস্ট) দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান।
তিনি বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার তথ্য গোপন করে আদালত বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে মিথ্যা, বিকৃত ও অসত্য তথ্য সম্বলিত একটি বই সিলেটের একটি প্রেসে ছাপিয়ে ঢাকায় বাজারজাত করতে চেয়েছিল একটি মহল। আদালত সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটা ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
এ তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর-১০ নম্বরের এসএ পরিবহন থেকে সংগ্রহকালে ৫ কার্টন বইসহ রাজনকে আটক করা হয়। তিনি জানান, বইটি ছাপাখানা ও প্রকাশনা আইন মেনে প্রকাশ করা হয়নি। তার সহযোগী হিসেবে ইভান, ওয়াসিম ইফতেখারুল হক, শিপন মোল্লা, বৈরাম খাঁ ওরফে রেজওয়ানুল হক শোভন ও আব্দুর রব চৌধুরী কাজ করছিল। আদালতের অনুমতি ছাড়াই তারা একে অপরের সহায়তায় বিচারাধীন একটি মামলার গুরুত্বপূর্ণ এক আসামির জবানবন্দি, মামলার এজাহার ও অভিযোগপত্র নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করে কতিপয় সুশীল সমাজের মন্তব্য সন্নিবেশ করে তা গোপনে প্রকাশ করে।
আটক রাজন ও ইভান মূলত একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও সাইবার অ্যানালিস্ট। তাদের কাছ থেকে জব্দ মোবাইল ও ল্যাপটপ থেকে সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ে ফেসবুকে উসকানির বিভিন্ন পোস্ট পাওয়া গেছে।
এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক নেতা কিংবা আরও কেউ জড়িত আছে কিনা বিষয়টি যাচাই-বাছাই চলছে বলেও জানান কাইয়ুমুজ্জামান খান।