নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা কালেক্টরেট চত্তরে মোটর সাইকেলের নাম্বারপ্লেট দেয়ার নামে দালালী করতে এসে ধরা খেয়েছে দালাল সেলিম।
তবে এসময় সেলিমের আরেক সহযোগী লিটু ভোঁ-দৌড় দিয়ে পালিয়ে এ যাত্রায় রক্ষা পায়।
পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।
চাঁদাবাজি ও দালালীর কথা স্বীকার করে জানায়, তাদের দলের মূলহোতা জাদু ও দীপ। আদায়কৃত টাকার ভাগ জাদুসহ কিছু দলীয় নেতাকর্মীদের দিতে হয়।
জানা যায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশে শিক্ষার্থী আন্দোলন চরম আকার ধারণ করায় এখন প্রতিদিন সাতক্ষীরায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে প্রশাসন। অসংখ্য অবৈধ যানবাহন আটকিয়ে মামলাও দেয়া হচ্ছে। ফলে বিআরটিএ সাতক্ষীরা সার্কেলের সহযোগিতায় ডিজিটাল নাম্বার প্লেট নিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসছেন শতশত মানুষ।
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দালাল চক্র ব্যপকভাবে দালালি শুরু করে।
আরো জানা যায়, একজন সাংবাদিক তার নিজের মোটর সাইকেলের ডিজিটাল নাম্বার প্লেট নিতে সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার সময় যান শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে। সেখানে কোন লোকজন না পেয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে পারে জনপ্রতিনিধির সেই ‘যাদুর বল’ এখন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
তারপর ওই সাংবাদিক আরো দুজন সাংবাদিককে নিয়ে ডিজিটাল নাম্বার প্লেট আনতে সোমবার বেলা ৩টায় যান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে। কিন্তু সেখানেও ছিলনা টাইগার আইটি সফ্টওয়ার কোম্পানীর কোন কর্মকর্তা। এমন সময় সাংবাদিকে কাছে এগিয়ে আসলেন সেলিম নামের এক ব্যক্তি। নিজেকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে সেলিম ওই সাংবাদিককে ডিজিটাল নাম্বারপ্লেট দেয়ার শর্তে নগদ ৫০০ টাকা দাবি করেন। এরপর চুক্তির এক পর্যায়ে সেলিম কাগজপত্র চান?
এসময় সেলিমের সাথে থাকা লিটু নামে এক ব্যক্তি ৪০০ টাকায় কাজটি করতে রাজি হন। এখবর ততক্ষণে জেলা প্রশাসকের কাছে পৌছে যায়। জেলা প্রশাসক মো. ইফতেখার হোসেন এসময় জরুরী কাজে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও অভিযোগটি গুরুত্ব সহকারে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এরপর বিকাল ৩টা ৮মিনিটে সেলিমের কাছে টাকা দেওয়ার সময় মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট এসে তাকে হাতেনাতে আটক করেন এবং সকল অপরাধ স্বীকার করায় তাকে ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।