এসভি ডেস্ক: বাংলাদেশের চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে কলকাতার শিক্ষার্থীরা মাঠে নামে। সমর্থন জানানো শিক্ষার্থীরা ডেপুটি হাইকমিশন ঘেরাও করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়েছে।
সোমবার কলকাতার পার্ক সার্কাসে সেভেন পয়েন্টে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সর্বভারতীয় ছাত্র সংগঠন ডিএসও সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন পর্যন্ত যায়। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
এর আগে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে কলকাতার শিক্ষার্থীরা ক’দিন আগে ফেসবুকে একটি ইভেন্ট খুলেন। ওই ইভেন্টের নাম দেয়া হয়েছে-‘চলুক গুলি, টিয়ার গ্যাস পাশে আছি বাংলাদেশ’।
ওই ইভেন্টের মাধমেই বাংলাদেশের নিরাপদ সড়ক দাবির এ আন্দোলনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের উদ্যোগে এক বিশেষ সমাবেশের আহ্বান জানানো হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈকত সিট এই ইভেন্টটি হোস্ট করেছেন। সোমবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সাত হাজারেরও বেশি মানুষ ওই ইভেন্টে উৎসাহ দেখিয়েছেন।
উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, বাংলাদেশের প্রশাসনকে পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা জানিয়ে দিতে চায় যে ওপার বাংলার কিশোর ভাইবোনেরা বাঙালির গর্ব। এই ভাই-বোনেদের মারাত্মক যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে দাবানল সীমানার এপারেও ছড়িয়ে পড়বে। এই বার্তাই তারা পৌঁছ দিতে চায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে।
গত ২৯ জুলাই (রোববার) ঢাকার কুর্মিটোলায় জাবালে নূর পরিবহনের বাস চাপায় রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। এরা হল দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজীব। এরপর নিরাপদ সড়কের দাবিতে মাঠে নামে শিক্ষার্থীরা।
একটানা সাতদিনের আন্দোলনে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া নিরাপত্তার অজুহাতে ঢাকা ও আন্তঃজেলা রুটের বাস চলাচলও বন্ধ করে দেয় মালিকরা।
গত দুই দিনে আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ঝিগাতলা ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে পুলিশ নমনীয় থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
সোমবারও (৬ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফাঁকা গুলি, টিয়ার শেল ও জলকামান ছোড়ে।