এসভি ডেস্ক:
স্বামী আর বিয়ের জন্যই শুধু বেঁচে থাকে না মেয়েরা। একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বালিকাদের যোনিচ্ছেদ প্রথা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আজ এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
শিয়াদের একটি শাখা দাউদি বহরা সম্প্রদায়ের মধ্যে বালিকাদের যোনিচ্ছেদ প্রথা চালু রয়েছে। এর পিছনে বিশ্বাস, ছয় থেকে সাত বছর বয়সি বালিকাদের যোনিচ্ছেদ করা হলে তারা পরবর্তী সময়ে যৌন আকাঙ্খা থেকে মুক্ত হবে। বৈবাহিক সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটবে না। এই প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ সোমবার মত প্রকাশ করেছে, স্বামীর প্রতি কোনও মহিলার অধীনতার প্রশ্নটি সাংবিধানিক বৈধতার পরীক্ষাতে পাশ করেনি। বরং যোনিচ্ছেদ হলে তা ব্যক্তিপরিসরের স্বাধীনতার উপর আঘাত করে।
কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল যোনিচ্ছেদ প্রথা নিষিদ্ধ করার পক্ষে সওয়াল করেন। তাঁর মতে, এর ফলে বালিকাদের শরীরে অপূরণীয় ক্ষতি হয়। আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া তো বটেই আফ্রিকার ২৭টি দেশ একে নিষিদ্ধ করেছে। বেণুগোপাল জানান, ধর্মের নাম দিয়ে এমন কোনও প্রথা কেন্দ্র সমর্থন করতে পারে না যা মহিলাদের শরীরের সম্পূর্ণতা নষ্ট করে। যোনিচ্ছেদ প্রথার পক্ষে সওয়াল করে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির যুক্তি, একটি বিশেষ সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় রীতির অংশ হিসেবেই একে দেখে আসছে। বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এ দিন বলেন, কোনও মহিলার বিয়ে হতে হবে, এই যুক্তিতে যোনিচ্ছেদ প্রথা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।’শুধু বিয়ে আর স্বামীর জন্য বাঁচেনা মেয়েরা!’এসভি ডেস্ক: স্বামী আর বিয়ের জন্যই শুধু বেঁচে থাকে না মেয়েরা। একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বালিকাদের যোনিচ্ছেদ প্রথা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আজ এই মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শিয়াদের একটি শাখা দাউদি বহরা সম্প্রদায়ের মধ্যে বালিকাদের যোনিচ্ছেদ প্রথা চালু রয়েছে। এর পিছনে বিশ্বাস, ছয় থেকে সাত বছর বয়সি বালিকাদের যোনিচ্ছেদ করা হলে তারা পরবর্তী সময়ে যৌন আকাঙ্খা থেকে মুক্ত হবে। বৈবাহিক সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটবে না। এই প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ সোমবার মত প্রকাশ করেছে, স্বামীর প্রতি কোনও মহিলার অধীনতার প্রশ্নটি সাংবিধানিক বৈধতার পরীক্ষাতে পাশ করেনি। বরং যোনিচ্ছেদ হলে তা ব্যক্তিপরিসরের স্বাধীনতার উপর আঘাত করে। কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল যোনিচ্ছেদ প্রথা নিষিদ্ধ করার পক্ষে সওয়াল করেন। তাঁর মতে, এর ফলে বালিকাদের শরীরে অপূরণীয় ক্ষতি হয়। আমেরিকা, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া তো বটেই আফ্রিকার ২৭টি দেশ একে নিষিদ্ধ করেছে। বেণুগোপাল জানান, ধর্মের নাম দিয়ে এমন কোনও প্রথা কেন্দ্র সমর্থন করতে পারে না যা মহিলাদের শরীরের সম্পূর্ণতা নষ্ট করে। যোনিচ্ছেদ প্রথার পক্ষে সওয়াল করে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির যুক্তি, একটি বিশেষ সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় রীতির অংশ হিসেবেই একে দেখে আসছে। বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এ দিন বলেন, কোনও মহিলার বিয়ে হতে হবে, এই যুক্তিতে যোনিচ্ছেদ প্রথা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।