Spread the love

কলারোয়া প্রতিনিধি: নোটারি পাবলিকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে ও মেয়েকে প্রাপ্ত বয়স্ক দেখিয়ে বিয়ের ঘটনায় উভয় পক্ষকে ৫’শ টাকা করে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বুধবার (১আগস্ট) দুপুরের কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে  ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ রায় দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মনিরা পারভীন।

এছাড়া সোনাবাড়িয়া গ্রামের মফিদুল চৌকিদারের কন্যা সুরাইয়া খাতুন (১৪) ও একই গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে আল আমীন (১৬)কে। একই সাথে মুচলেকার মাধ্যমে তাদেরকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দেয়া হয়।

জানা গেছে- কিছু দিন আগে সাতক্ষীরা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে আল আমীন ও সুরাইয়াকে প্রাপ্ত বয়স দেখিয়ে বিয়ে দেন মেয়ের বাবা। পরে ছেলেকে জামাতা হিসেবে মেয়ের বাড়িতে রেখে দেন তিনি। এ ঘটনায় গত ২৩ জুলাই ছেলের বাবা রুস্তম আলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, ছেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও মেয়ের বাড়িতে প্রলোভনে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বরদের দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রাথমিক সত্যতা জানার পরে উল্লেখিত ছেলে-মেয়েকে বুধবার ইউএনও তাঁর দপ্তরে ডেকে পাঠান। সেখানে ছেলে-মেয়ের জন্মসনদ যাচাই করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রমাণিত হওয়ায় এবং তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে উভয়কে ৫’শ টাকা করে ১হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে নিজের পিতা-মাতার বাড়িতে আলাদা থাকার জন্য ছেলে ও মেয়েকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষ লিখিত মুচলেকা প্রদান করেন।

মুচলেকায় স্বাক্ষী ছিলেন ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম কামু, ডা.মোখলেছুর রহমান মুকুল, মেয়ের পিতা চৌকিদার মফিদুল ইসলাম প্রমুখ।

ভ্রাম্যামান আদালতে সহায়তা করেন ইউএনও অফিসের বেঞ্চসহকারী এমএ মান্নানসহ অন্যরা।