এসভি ডেস্ক: জাতীয় নাগরিক পঞ্জী ইস্যুতে যখন আসাম, সংসদ সহ-গোটা ভারত তোলপাড় তখন তাতে ঘৃতাহুতি দিলেন তেলঙ্গানার বিজেপি বিধায়ক রাজা সিং।
মঙ্গলবার তিনি রোহিঙ্গা এবং বেআইনিভাবে এদেশে প্রবেশ করা বাংলাদেশিদের গুলি করে মেরে ফেলার নির্দেশ দেন। দেশকে নিরাপদে রাখতে এটাই পথ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। যা নিয়ে রীতিমত হইচই শুরু হয়ে গেছে।
এদিন তিনি বলেন, ‘যদি রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশি বেআইনি অভিবাসিরা ভারত ছাড়তে না চায়, তাহলে তাদের গুলি করে শেষ করে দেওয়া উচিত। আর তাহলেই আমাদের দেশ নিরাপদ থাকবে।’
এই মন্তব্য করে একদিকে তিনি দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন। অন্যদিকে মানুষের প্রতি অমানবিক নির্দেশ দিয়ে তাদের অসম্মানও করেছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ দল এই পথকে সমর্থন করেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
এর আগেও বহু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন রাজা সিং। সম্প্রতি আলওয়ারে এক যুবককে গরু পাচারকারী সন্দেহে বেধড়ক পেটানো হয়। আহত ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যেতে ৪ ঘণ্টা দেরি করে পুলিশ। ফলে তার মৃত্যু হয়।
এনিয়ে বলতে গিয়ে রাজ সিং একটি ভিডিও প্রকাশ করে বলেন, যতদিন না গোহত্যা বন্ধ হবে ততদিন গণধোলাই বন্ধ হবে না। সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখার জন্য রাজা সিংয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ৬০টি মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ এখনও তাঁর টিকি ছুঁতে পারেনি।
উল্লেখ্য, রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু ও আসামে বাংলাদেশি অনুপপ্রবেশকারীদের নিয়ে তোলপাড় চলছে সংসদে। ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের প্রতি সরকার মানবিক পদক্ষেপ নিক বলে সংসদে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ সুগত বসু। তাঁর যুক্তি, বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের ভারত মানবিক সাহায্য পাঠাচ্ছে। খাবার, পোশাক সহ বিভিন্ন জিনিস রয়েছে তার মধ্যে। কিন্তু ভারতে বসবাসকারী ৪০ হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জন্য কেন্দ্র ব্যবস্থা নিক বলে দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ।
অন্যদিকে, আসামে ৪০ হাজার মানুষ জাতীয় নাগরিক পঞ্জী থেকে বাদ পড়ায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। এনিয়ে তৃণমূল তো একে বাঙালি খেদাও অভিযান বলেছে। নাম, পদবী ধরে ধরে তালিকা থেকে মানুষজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের।