Spread the love

এস ভি ডেস্ক: মাগুরা থেকে তিন মাদক ব্যাবসায়ীকে ২০ হাজার পিস্ ইয়াবাসহ আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে মাত্র ২২০ পিস ইয়াবা কথা উল্লেখ করে মামলা প্রদান করেন মাগুরার শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম।

এ ঘটনায় (ওসি) রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে মাগুরা জেলা জজ আদালতের দূর্ণীতি দমন কমিশনের ট্রাইবুনালে (২৫ জুলাই ) মামলা হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ওসি রবিউলের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছেন শালিখা উপজেলার সাবলাট গ্রামের প্রয়াত স্কুল শিক্ষক বিশারত মোল্যার ছেলে মহব্বত হোসেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে- গত ৩১ মার্চ ২০১৮ কক্সবাজারের টেকনাফ এবং নারায়নগঞ্জের তিন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সহ মাগুরার শালিখা উপজেলার সাবলাট গ্রামে ঢুকে পড়ে।

সেখানে একই গ্রামের অপর মাদক ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামের বাড়িতে তারা অবস্থান করছিল। বিষয়টি জানতে পেরে ওই গ্রামের বিশারাত মোল্যার ছেলে মহব্বত হোসেন গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ পুলিশে ধরিয়ে দেয়।

এরা হলো টেকনাফের সাবরাম শিকদার পাড়ার জামাল হোসেন, একই উপজেলার গুচ্ছগ্রামের সালিমুল্লাহ এবং নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিষনন্দি গ্রামের ইউসুফ আলি।

কিন্তু এই ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও শালিখা থানার ওসি রবিউল ইসলাম উদ্ধারকৃত ইয়াবার পরিমাণ ২শ ২০ পিস হিসেবে উল্লেখ করেন। সেইসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সরিয়ে ফেলেন।

অন্যদিকে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ শালিখা থানার ওসি আসামিদের সঙ্গে মহব্বত হোসেনের নামটিও জুড়ে নানাভাবে হয়রানি করছেন।

শুধু তাই নয়, মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরবর্তিতে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করলেও হয়রানি বন্ধ হয়নি।

ওসি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার আইনজীবী গোলাম নবী শাহিন জানান, (২৫ জুলাই) বুধবার আদালতে মামলাটি দাখিল করা হলে দূর্নীতি দমন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক শেখ মফিজুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে দূর্ণীতি দমন কমিশনকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ওসি রবিউল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযাগ করার সুযোগ হয়নি। পরে মাগুরা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলার বিষয়টি স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, যেহেতু দূর্ণীতি দমন কমিশনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই কারনে বর্তমান পুলিশ প্রশাসনের কিছুই করার নেই। তবে তদন্ত প্রতিবেদন ওসির বিরুদ্ধে গেলে পুলিশ প্রশাসন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে।