Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের তুজুলপুর মোড়ের দক্ষিণ পাশে তুজুলপুর হাইস্কুল মাঠে সার্কাসের অনুমোদন নিয়ে চলছে চরকা ও ওয়ান টেন নামক রমরমা জুয়ার আসর।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতি রাতে জুয়ার আসর বসানোর কারণে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ  মানুষ। এলাকায় সংঘটিত হচ্ছে চুরি ও ছিনতাই। নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া। আর আয়োজক কমিটির সদস্য ছাড়াও একটি মহল প্রতিদিন লুটে নিচ্ছে লক্ষলক্ষ টাকা।

স্থানীয়রা জানান, ১৭ জুলাই সার্কাস শুরু হলেও সন্ধ্যার পর থেকে সার্কাসের প্যান্ডেলের উত্তর পাশে প্যান্ডেল করে ক্যাসিনো (চরকি) জুয়া শুরু হয়। রাত ১১ টা থেকে পরদিন ভোর চারটা পর্যন্ত চলে ওয়ান টেন। ভ্যান চালক, দিন মজুর, ব্যবসায়ী ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ প্রতিদিন জুয়ায় অংশ নিচ্ছে। নামে সার্কাসের ম্যানেজার হলেও জুয়া খেলার পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন শফিকুল ইসলাম। জুয়ার জন্য শফিকুলকে সার্কাস আয়োজক কমিটিকে দিন প্রতি দিতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা।

তুজুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, তুজুলপুর কৃষি ক্লাবের আয়োজনে তুজুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ‘দি বাংলাদেশ গোল্ড সার্কাস’। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কাস চালানোর জন্য ১২ দিনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে। সার্কাস পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন নওয়াপাড়ার শফিকুল ইসলাম। মাঠ ব্যবহারের জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে।

তুজুলপুর গ্রামের আরাফাত হোসেন, ইমন ও আকাশ জানান, ১৭ জুলাই সার্কাস শুরু হলেও সন্ধ্যার পর থেকে প্যাণ্ডেলের মধ্যে ক্যাসিনো (চরকি) জুয়া শুরু হয়। রাত ১১ টা থেকে পরদিন ভোর চারটা পর্যন্ত চলে ওয়ান টেন। ভ্যান চালক, দিন মজুর, ব্যবসায়ি ছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ প্রতিদিন এ খেলায় অংশ নিচ্ছে। নামে সার্কাসের ম্যানেজার হলেও জুয়া খেলার পরিচালনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন শফিকুল ইসলাম। জুয়ার জন্য শফিকুলকে সার্কাস আয়োজক কমিটিকে দিন প্রতি দিতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। এ ছাড়াও প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে গুণতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। সব মিলিয়ে খরচ বাদ দিয়ে শফিকুল ইসলাম প্রতিদিন জুয়ার মাধ্যমে লুটে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।

তুজুলপুর মাধমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলী হোসেন বলেন, সার্কাস অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে আমাকে প্রথমে জানানো না হলেও পরে অবহিত করা হয়েছে। তবে সেখানে যে জুয়া চলছে এটা আমার জানা নেই। জুয়া চললে এলাকার ক্ষতি হয়। সেকারণে আজই খোঁজ নিয়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সার্কাস প্যণ্ডেলের ম্যানেজার কাম জুয়ার ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম বলেন, সার্কাসের সঙ্গে একটু আধটু  এসব না চললে যাব কোথায় বলুন?

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান বলেন, সেখানে জুয়া হওয়ার বিষয়ে আমাদের জানা নেই। তবে জুয়া খেলা চললে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ইফতেখার হোসেন জানান, তুজুলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে সার্কাসের অনুমোদন দিলেও সেখানে কোন জুয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়নি।