Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার আশাশুনির চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র হাবিবুল্লাহ সরদারকে হত্যার দায়ে এক জনের মৃত্যুদণ্ড ও অপর দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত।

সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক অরুনাভ চক্রবর্তী এ আদেশ দেন। এ মামলায় আরও ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে আদালত বাকি ২৩ আসামিকে খালাস দিয়েছে।

ফাঁসির দ্বন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী হলেন, আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের ডাঃ সাইফুল্লাহ। এ রায়ের সময় তিনি পলাতক ছিলেন। যাবজ্জীবন দন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, একই এলাকার জিয়ারুল ও মামুন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১১ জুলাই কৃষি জমিতে গভীর নলকূপের পানি বিতরণকে কেন্দ্র করে আশাশুনি উপজেলার বাঁকড়া গ্রামের দুই পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পানি বিতরণ কমিটির সভাপতি আলিমুদ্দিন সরদারের ছেলে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লাহ সরদারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আলিমুদ্দিন সরদার বাদি হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০০/১৫০ জনের বিরুদ্ধে ১২ জুলাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক লুৎফর রহমান দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ৩৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ মামলার বাদি, পুলিশ ও ডাক্তারসহ ১৪ জন স্বাক্ষীরা সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত সোমবার দুপুরে এক জনের মৃত্যুদন্ড, দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অপর ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেন। দন্ডিত ৯ আসামিরা হলেন মো. জুলফিকার, আবু হাসান, আবদুল মালেক, আবদুস সালাম, রব্বানি, বেল্লাল হোসেন, জামান, রহিম ও পিকলু।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সাতক্ষীরা জর্জ কোর্টের অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. তপন কুমার দাস। এ সময় তাকে সহায়তা করেন, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুস সামাদ, অ্যাড. জিএম লুৎফর রহমান, অ্যাড. অজয় কুমার সরকার, অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, অ্যাড. শহীদুল ইসলাম পিণ্টু প্রমূখ।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. এসএম হায়দার আলী ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাড.নিজামউদ্দিন।