এস ভি ডেস্ক: পবিত্র কোরআন শুধু কোনো ধর্মগ্রন্থ নয়। মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান দিতে পারে কেবল পবিত্র কোরআনে কারীম। পবিত্র কোরআনের সূরা তুল বাকারায় এমন একটি আয়াত রয়েছে যেটি নিয়মিত পাঠ করলে ঘরে দারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারে না। এই আয়াতকে বিশেষ দোয়াও বলা হয়ে থাকে।
দেখে নিন আয়াতটির (আয়াতুল কুরসি) আরবি উচ্চারণ:
اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَهُ مَا فِي السَّمَوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَنْ ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লাহু লাইলাহা ইল্লাহুওয়াল হাইয়্যুল ক্বইউম, লাতা’খুযুহু সিনাতুওঁ ওয়ালা নাওম, লাহু মাফিস্* সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরয। মানযাল্লাযি ইয়াশ্*ফাউ ইন্*দাহু ইল্লা বিইযনিহ। ইয়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহীতূনা বিশাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমাশাআ ওয়াসিয়া কুরসিয়্যুহুস সামাওয়াতি ওয়াল আরযা, ওয়ালা ইয়াউদুহু হিফযুহুমা ওয়াহুওয়াল আলিয়্যুল আযীম। (সূরা বাকারঃ ২৫৫)।
অর্থ : আল্লাহ এমন এক চিরঞ্জীব ও চিরন্তন সত্তা যিনি সমগ্র বিশ্ব-জাহানের দায়িত্বভার বহন করছেন, তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই৷ তিনি ঘুমান না এবং তন্দ্রাও তাঁকে স্পর্শ করে না৷ পৃথিবী ও আকাশে যা কিছু আছে সবই তাঁর৷ কে আছে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? যা কিছু মানুষের সামনে আছে তা তিনি জানেন এবং যা কিছু তাদের অগোচরে আছে সে সম্পর্কে তিনি অবগত৷ তিনি নিজে যে জিনিসের জ্ঞান মানুষকে দিতে চান সেটুকু ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ব করতে পারে না৷ তাঁর কর্তৃত্ব আকাশ ও পৃথিবী ব্যাপী৷ এগুলোর রক্ষণাবেক্ষন তাঁকে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত করে না৷ মূলত তিনিই এক মহান ও শ্রেষ্ঠ সত্তা৷
এবার জেনে নিন ফজিলতঃ
এই দোয়া পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০ হাজার ফেরেস্তা চারদিক থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত আয়াতুল কুরসি পড়লে ঘরে দারিদ্রতা প্রবেশ করতে পারেনা। দোয়টি পড়ে ঘুমাতে গেলে সারারাত একজন ফেরেস্তা তাকে পাহারা দেন।
ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্য তার যে দূরত্ব থাকে সেটি হলো মৃত্যু। ওজু করার পরে এই দোয়া পড়লে আল্লাহর নিকট ৭০ গুন মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে কবরের আযাব কমে যায়।