সাতক্ষীরা ভিশন: প্রথমে বাথরুমের মধ্যে মারতে মারতে অচৈতন্য করে ফেলেছিলেন স্ত্রীকে। তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য স্ত্রীর গোপনাঙ্গে বিদ্যুতের শক দেন স্বামী। বুধবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ছত্তীসগঢ়ের বালোডাবাজার-ভাতাপাড়া জেলায়।
পুলিশ অভিযুক্ত সুরেশ মীরীকে গ্রেফতার করছে। অভিযুক্ত ছত্তীসগঢ় সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ান। বর্তমানে মীরী দন্তেওয়াড়ায় সিএএফ-এর ৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের রাঁধুনির দায়িত্ব ছিলেন।
সারগাঁও পুলিশের এএসআই পরেশরাম জাগাত সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, জেরায় স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করছেন মীরী।
অভিযুক্ত জওয়ান জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীর সঙ্গে অন্য একটি ছেলের বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। গতকাল সন্ধ্যায় অশান্তি চরম আকার নেয়। তার পর লক্ষ্মী বাথরুমে গেলে তার উপর চড়াও হন মীরী। ব্যাপক মারধর করেন। তখনই অচৈতন্য হয়ে পড়েন ২৭ বছরের লক্ষ্মী।
৩৩ বছরের মীরীর সঙ্গে বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয় লক্ষ্মীর। তাঁদের দুটি সন্তানও আছে। পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার প্রথমে মীরী তাঁর শ্বশুর বাড়িতে জানান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন লক্ষ্মী। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর কথাও জানান মীরী। কিছুক্ষণের মধ্যেই মীরী জানান, মৃত্যু হয়েছে লক্ষ্মীর।
যদিও মীরীর কথায় সন্দেহ হয় লক্ষ্মীর পরিবারের। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। অভিযোগ করেন জামাই মীরীর বিরুদ্ধে। তার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পরে জেরায় নিজের দোষ স্বীকার করেন মীরী।