Spread the love

এস ভি ডেস্ক: ফাঁড়িতে আনা হয়েছিল জেরা করার জন্য। কিন্তু, খাস ফাঁড়ির মধ্যেই পুলিশ কর্মীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল অভিযুক্ত। ঘটনাস্থল দমদম থানার ঘুঘুডাঙা ফাঁড়ি। অনেক সময় অভিযুক্তকে জেরা করার সময় পুলিশের বিরুদ্ধেই মারধরের অভিযোগ ওঠে। কিন্তু, মঙ্গলবার ঘুঘুডাঙা ফাঁড়িতে ঠিক উল্টোটাই ঘটল। ফাঁড়ির ভিতরে জিজ্ঞাসাবাদের সময়েই কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর উপরেই চড়াও হওয়া এবং তাঁকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক কলেজছাত্র এবং তাঁর দাদার বিরুদ্ধে। দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় আড়াই মাস আগে দমদমের রবীন্দ্র ভবনের কাছে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে ওই কলেজেরই দুই ছাত্রের মধ্যে ঝামেলা বাধে। সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে সেই গণ্ডগোল নিয়ে এক ছাত্র অন্য জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে। সেই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্ত ছাত্র সাদাব হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়।হাওড়ার শিবপুরের বাসিন্দা সাদাব ওই দিন তাঁর দাদা ওয়াসিম ইকবালকেও সঙ্গে নিয়ে আসে ফাঁড়িতে।

পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ফাঁড়ির ইনচার্জ শিবচরণ মণ্ডল খেয়াল করেন যে, ওয়াসিম মোবাইলে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব রেকর্ড করছে। সেটা দেখার পরেই শিবচরণ ওই যুবকের মোবাইল কেড়ে নেন। তার পরেই টেবিলের ওপারে থাকা শিবচরণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই ভাই। তাঁকে কিল, চড়, ঘুসি মারা শুরু করে।মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। শিবচরণের মাথা এবং চোখে আঘাত লাগে। মারধর করার পর ফাঁড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করেন ওই দুই যুবক। শেষ মুহূর্তে তাঁদের ধরে ফেলে পুলিশ।