এস ভি ডেস্ক: শেরপুরে মাথা জোড়া লাগানো যমজ কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে। গত শনিবার শহরের মাধবপুর এলাকার ফ্যামিলি হেলথ অ্যান্ড নার্সিং হোমে যমজ শিশুর জন্ম হয়। শেরপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ চাপাতলী গ্রামের দরিদ্র রিকশাচালক রুবেল মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম এই যমজ শিশুর জন্ম দেন।
মাথা জোড়া লাগা দুই শিশুর চিকিৎসা ও জীবন রক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রিকশাচালক বাবা রুবেল। শিশু দুটি এক নজর দেখার জন্য অসংখ্য মানুষ ওই ক্লিনিকে ভিড় জমাচ্ছিল। তাই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশ নবজাতক দুই মেয়েকে গ্রামে বাড়িতে নিয়ে যান রুবেল। আর স্ত্রী রেহেনা বেগম ওই ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।
রুবেলের পরিবার ও নার্সিং হোম সূত্রে জানা যায়, গর্ভের সন্তানের জটিলতা রয়েছে জেনে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দুই সপ্তাহ আগে রেহেনাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান রুবেল। তখন হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিভাগ থেকে ছয় সপ্তাহ পর রেহেনাকে হাসপাতালে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী রুবেল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে শেরপুরে চলে আসেন। কিন্তু গত শুক্রবার আকস্মিকভাবে রেহেনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ফ্যামিলি হেলথ অ্যান্ড নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। পরে শনিবার সকালে অস্ত্রোপচারে যমজ কন্যাশিশু দুটির জন্ম হয়।
চিকিৎসক এম এ বারেক রোববার বিকেলে বলেন, জোড়া লাগানো শিশু দুটি সুস্থ আছে। তবে তাদের মা অসুস্থ। জন্মের পর শিশু দুটি মায়ের বুকের দুধ পান করেছে। তিনি বলেন, উন্নত চিকিৎসা ছাড়া এদের বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য এদের দ্রুত বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য শিশু দুটির অভিভাবককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যমজ শিশুর বাবা রুবেল মিয়া বলেন, নবজাতক দুটি তাঁদের প্রথম সন্তান। তিনি একজন অতিদরিদ্র রিকশাচালক। তাঁর পক্ষে এই শিশু দুটির চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। এ নিয়ে তিনি চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন।
তাই সদ্যজাত মাথা জোড়া লাগা দুই কন্যা শিশুকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকার ও দেশের হৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে সহায়তা প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
সূত্র: প্রথম আলো