এস ভি ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে যখন গোটা বাংলাদেশে জেগে উঠেছে তখন পবিত্র সংসদে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সমস্ত কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে দিলেন। যদি কেউ পবিত্র সংসদে দাঁড়িয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়, সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা তার দায়িত্ব। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের সাথে প্রতারণা করেছে। তিনি প্রতিনিয়ত বাস্তবায়ন না করে যে ধরনের প্রতারণা চলছে। তাতে দেশের শুধু এই ছাত্র সমাজ মেধাহীন হচ্ছে তা নয়। তাতে মেধাবী বাংলাদেশ গড়ে উঠছে না বরং বঞ্চিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগের পৈশাচিক হামলার প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, ছাত্ররা আন্দোলন করেছে কোটা সংস্কারের জন্য যাতে করে বাংলাদেশের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ উন্মুক্ত থাকে। আজকে কোটার নাম দিয়ে কিছু সীমিত মানুষের কাছে কারা বন্ধ হয়ে আছে। মূল কথা হচ্ছে মেধার ভিত্তিতে চাকরিবাকরি অর্থাৎ দেশ পরিচালনার সুযোগ থেকেই মূলত কোটা সংস্কারের বিষয়টি উঠে এসেছে। আজকে ছাত্রসমাজের চিন্তা-ভাবনা আগামীর বাংলাদেশ থেকে এখানে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমরা দেখেছি ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে যে ছাত্রসমাজ বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন। যে ছাত্রসমাজ এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করেছে। যে ছাত্রসমাজ ১/১১ সময় সামরিক শাসনকালে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সেই ছাত্রসমাজ আজকে একটি সন্ত্রাসী দলের নিপীড়নের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাই এই দলটিকে আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী দল হিসেবে পরিচিত করা উচিত। তাদের নির্যাতন-নিপীড়ন আজকে বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ নিরবে কাঁদছে।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, যেভাবে সরকারি লোকেরা দিবালোকে ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তা অবিশ্বাস্য। ছাত্রসমাজ আন্দোলন করছে একটি মেধাবী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এই ছাত্রসমাজ আন্দোলন করছে কোটা সংস্কারের মাধ্যমে আগামী মেধাবীরা যেন বাংলাদেশ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে। ইতিমধ্যেই সরকারি শিক্ষার মান কোন অবস্থায় নেমে এসেছে আপনারা তা জানেন সারাদেশে নকল প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং দলীয় শিক্ষাব্যবস্থা আছে তলানীতে চলে আসছে মেধাহীন শিক্ষাব্যবস্থা ইতিমধ্যে বাংলাদেশের চলছে।
প্রতিবাদী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, সঞ্চালক মুহাম্মদ সাইদুর রহমান। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মিসেস খালেদা ইয়াসমিন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ইউকের সভাপতি ব্যারিষ্টার আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব,এডভোকেট জুলফিকার বুলবুল চৌধূরী, ন্যাপ ভাসানীর মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী প্রমুখ।