Spread the love

এস ভি ডেস্ক: সাতক্ষীরা সদরের সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজে অভিভাবক ও শিক্ষকদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে গভর্ণিং বডির সভাপতি বানানোর পায়তারা চালাচ্ছে অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জামায়াতের অর্থদাতা ও পৃষ্ঠপোষক শিকদার আবুল কালাম আজাদ। স্কুল এন্ড কলেজ সূত্রে জানা যায়, সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজের গভর্ণিং বডির অবিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের শেষ দিন ছিল গত ১৪ জুন। তবে ১৪ জুনের মধ্যে অত্র প্রতিষ্ঠানের অবিভাবক সদস্য ও শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে যায়। এরপর নির্বাচিত সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে মিটিং করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি বানানোর  কথা থাকলেও অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শিকদার আবুল কালাম আজাদ স্কুল এন্ড কলেজে না যেয়ে সাতক্ষীরায় তার নিজস্ব বাসভবনে বসে অভিভাবক সদস্য মেহেদী হাসান, আহানুর রহমান, ফিরোজ হোসেন, মিজানুর রহমান, শেখ সাব্বির আহম্মেদ এর স্বাক্ষর জাল করে অত্র প্রতিষ্ঠানের দূর্ণীতিগ্রস্থ সাবেক সভাপতি মীর মাইনুদ্দীন তারেককে সভাপতি করার পায়তারা চালাচ্ছে।

গভর্ণিং বডির সদস্য মেহেদী হাসান, আহসানুর, মিজানুর রহমান, শেখ সাব্বির আহম্মেদ বলেন, আমরা দূর্ণীতিগ্রস্থ সাবেক সভাপতি মাইনুদ্দীন তারেককে চাচ্ছি না। আমরা এখন শুনছি আমাদের সই জালিয়াতি করে অধ্যক্ষ গোপনে গোপনে মাইনুদ্দীন তারেককে সভাপতি বানানোর পায়তারা চালাচ্ছে।

এদিকে অভিভাবক সদস্য ফিরোজ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজের অফিস সহকারি বকুল আমাকে এসে বললেন এই কাগজে সই দাও তাই আমি সই দিয়েছি। আমি জানতাম না যে ওই সই সভাপতি নির্বাচিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। এরপর আামি বকুলকে বলেছিলাম আমার সই দেওয়া ওই কাগজটি রেখে দাও। তারপর কি হয়েছে আমি জানিনা।

এ ব্যাপারে সাতানী ভাদড়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শিকদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি সকল কিছু কমপ্লিট করে একটি তালিকা পাঠিয়েছি। সেই তালিকায় কারো স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়নি। তবে এর আগে তার কাছে ফোন দিলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাবার জন্য বলেন, আমার পায়ে ব্যাথা, আমি এখন কথা বলতে পারছি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *